প্রোগ্রামিং স্কিল ডেভেলপমেন্টঃ আমি যে পদ্ধতি অনুসরন করি

লার্নিং প্রসেসটা আসলে মানুষভেদে চেঞ্জ হয়। প্রত্যেকটা মানুষই স্বতন্ত্র। কাজেই একেকজন একেক ওয়েতে এফিশিয়েন্টলি শিখতে পারে।
আমি কোন এক্সপার্ট না এ ব্যাপারে উপদেশ দেয়ার মত। তবে আমি নিজের জন্য যে প্রসিডিউরগুলো ফলো করি সেগুলো শেয়ার করতে পারি।

ধরুন নতুন একটা টেকনোলজি আপনি শিখতে চাচ্ছেন। এখন তার প্রায়োরিটি আপনার কাছে দুই রকম হতে পারে।

  • এজেন্ডা ১। এটা আমার শেখা প্রয়োজন, ফিউচারে শেখা লাগবে।
  • এজেন্ডা ২। এটা আমার ইমেডিয়েটলি শিখতে হবে।

এই দুই রকম প্রায়োরিটির জন্য আমি দুইরকম প্রসেস ফলো করি। আমার লার্নিং এর জায়গাটা যেহেতু বেশীরভাগই প্রোগ্রামিং রিলেটেড, কাজেই আমার ওয়েটা হয়তো অন্য কোন টপিকের ক্ষেত্রে নাও খাটতে পারে।

এজেন্ডা ১। এটা আমার শিখতে হবে

এই টাইপের এজেণ্ডার ক্ষেত্রে প্রথমে আমি যেটা করি, নীলক্ষেত থেকে ওই টপিকের উপর বই কিনে আনি। তারপর বাসে বসে পড়ি। করার মত কোন কিছু না থাকলে পড়ি। কোন টার্গেট নিয়ে না। জাস্ট কৌতূহল থেকে, পেইনলেস নতুন কিছু জানার ইচ্ছা থেকে। ভাল না লাগলে রেখে দেই। আবার ফ্রি টাইম পেলে পড়ি।
এ ছাড়াও ওই টপিকের টিউটোরিয়াল দেখি খাওয়ার সময়, কিংবা হুট করে ইচ্ছা জাগলে।
মানুষের ব্রেইনটা বেশ আজব চিজ। আপনি কোন একটা এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করছেন, সেটা লার্নিং হোক কিংবা অন্য কিছু, আপনার সাবকনশাস মাইন্ডে সব রেজিস্টার করে রাখবে। পরবর্তীতে যখন এজেন্ডা ২ নিয়ে এগুবেন, তখন সবকিছু বেশ পরিচিত মনে হবে। খুবই দ্রুত ক্যাচ করতে পারবেন। আপনার ব্রেইনই সবকিছু সহজ করে মেলে ধরবে আপনার সামনে।

এজেন্ডা ২। এটা আমার ইমেডিয়েটলি শিখতে হবে।

কাজের জন্য অথবা শেখার জন্য যাই হোক না কেন, যখনি ডিটারমিনড হই যে আমি এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, ফ্রেমওয়ার্ক কিংবা অ্যালগোরিদম কোর্স অথবা অন্য যেকোন টপিক শিখবো, সেটা নিয়ে লেগে থাকি। অফিসের কাজের বাইরে কিংবা বিশেষ করে অফ ডে গুলো কাজে লাগাই ভালও ভাবে।
তবে ডিফোকাসড হই অনেক, একারনে প্রচুর পরিমাণ সময় নষ্ট হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ করি।

ইমেডিয়েটলি নতুন কোন টেকনোলজি শেখার জন্য যেটা করি,
ওই টপিকের উপর সবচেয়ে ভালও ভিডিও টিউটোরিয়াল খুঁজে বের করি। আমার অবশ্য লিঙ্কডইন প্রিমিয়াম এবং প্লুরালসাইট প্রিমিয়াম আছে কাজেই রিসোর্স হাতের নাগালে, এদিক দিয়ে বেশ সুবিধা।

অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন পড়ে শেষ করতে বেশ ধৈর্য্য লাগে। তবে এটা সবচেয়ে ভালও উপায়। আমার অবশ্য এটা খুব একটা করা হয় না। এটা একটা ফলো। ফিউচারে অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন ফলো করেই সব করার চিন্তা করছি।

তো টিউটোরিয়ালগুলো এক এক করে দেখা শুরু করি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। ইমেডিয়েটলি তখনি হ্যান্ডস অন্য প্রোজেক্টে হাত দেই না। পুরো সিরিজ একবার রিভিউ দেয়া মানে হচ্ছে ওই টপিক সম্পর্কে একটা ডিটেইল ধারনা লাভ করা। এটা বেশ কাজে দেয় পরবর্তীতে।

দ্বিতীয়বারে প্রথমেই একটা প্রোজেক্ট ওপেন করি। এবার প্রত্যেকটা ক্লিপ দেখার পরে সেটা ইমপ্লিমেন্ট করি। এভাবে পুরো সিরিজটা ইমপ্লিমেন্ট করলে নিজের একটা বয়লারপ্লেটের স্কেলিটন দাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে কোন প্রোজেক্টে কোন বিষয় ভুলে গেলে কিংবা হুট করে মাথায় না আসলে ওই প্রোজেক্টে জাস্ট দেখে নিলেই হয়।

তো বেশ কিছুদিন কাজ করতে করতে তখন আর দেখা লাগে না। সব আঙ্গুলের ডগায়ই চলে আসে। এরপর থেকে শুধু গুগল সার্চ এবং অফিসিয়াল ডকুমেন্টেশন। শুধুমাত্র প্রব্লেমে পড়লে অথবা নতুন কিছু নিয়ে কাজ করতে হলে।

এই তো, আহামরি কোন ওয়ে না হতে পারে, তবে আমার ক্ষেত্রে বেশ ভালও কাজে আসে।

আমি বেশ কিছুদিন আগেও ব্যাগে পাইথনের বই নিয়ে অফিসে যেতাম। শুধু বাসে বসে পড়ার জন্য। এখন যখন জ্যাঙ্গো শিখছি, খুব অল্প সময়ই লাগছে একটা টপিক আয়ত্ব করতে।

আরেকটা জিনিস মাথায় রাখা ভালো। সেটা হচ্ছে বেশী বেশী কোন কিছুই ভালো না। দুদিনেই সব শেষ করে ফেলবো এমন না। ব্রেইনকে টাইম দিতে হবে পুরোপুরি প্রসেস করে সেভ করে রাখার জন্য। এবং একটা জিনিস বারবার করতে হবে। সাবকনশাস মাইন্ডের পাওয়ারটাকে কাজে লাগাতে হবে, এটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশী পাওয়ারফুল ইঞ্জিন আপনার লজিক ডেভেলপমেন্ট প্রসেসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *